প্রিগোজিনের প্লেনের ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধার

রাশিয়া ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া প্লেন বিধ্বস্তের স্থান থেকে ১০টি মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ‘এখন মোলেকিউলার-জেনেটিক টেস্ট করা হচ্ছে।’

গত বুধবার মস্কোর অদূরে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। এরপর খবর বের হয়, প্লেনটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল অথবা বোমা স্থাপন করা হয়েছিল।

তবে প্রিগোজিনকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এমন দাবিকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রো পেসকোভ।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক সময়কার বিশ্বস্ত বন্ধু প্রিগোজিন— গত ২৩ জুন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেন। এ বিষয়টিকে পুতিন ব্যক্তিগতভাবে নেন।

প্রিগোজিনের সেই বিদ্রোহকে পুতিন ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তবে ওইদিনই প্রিগোজিনের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন তিনি। ওই চুক্তি অনুযায়ী, প্রিগোজিনকে শর্ত দেওয়া হয় তাকে তার সেনাদের নিয়ে বেলারুশে চলে যেতে হবে।

যদিও ওই সময় মনে হয়েছিল পুতিন প্রিগোজিনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তবে অনেকে বলেছিলেন, পুতিন কখনো তাকে ক্ষমা করবেন না।

চুক্তি অনুযায়ী প্রিগোজিন অবশ্য তার সেনাদের নিয়ে বেলারুশে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর বাহিনীটির ভবিষ্যৎ কি হবে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, বর্তমানে তার দেশে  ওয়াগনারের ১০ হাজার সেনা রয়েছে  এবং তারা সেখানেই অবস্থান করবে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকেই লুকাশেঙ্কোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বুধবার প্লেন দুর্ঘটনা ঘটলেও, প্রায় ২৪ ঘণ্টা এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি পুতিন। অবশেষে নিজের নিরবতা ভেঙে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। ওই বক্তব্যে পুতিন বলেন, প্রিগোজিন খুবই বুদ্ধিসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। কিন্তু সঙ্গে তিনি অনেক ভুলও করেছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন